চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও হয়রত আয়েশা (রা.) কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতা নূপুর শর্মা ও তার সহকর্মী নবীন কুমার জিন্দাল কটূক্তির প্রতিবাদ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানোর দাবিতে চন্দনাইশে এক বিশাল মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে চন্দনাইশ জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ। সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে দরবার শরীফ পরিচালিত জাহাঁগিরিয়া ছুফিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা, স্বতন্ত্র শাহসুফি মমতাজিয়া আহলে সুফফা সুন্নিয়া মাদরাসা, হযরত শাহসুফি মমতাজিয়া মোহাম্মদীয়া হেফজখানা ও এতিমখানা শিক্ষক কর্মচারী, শিক্ষার্থী, দাওয়াতে সুফি বাংলাদেশ এর সকল কর্মী, দরবার শরীফের ভক্ত অনুরক্তসহ এলাকার সর্বস্থরের নবীপ্রেমীকগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ সফল করে।
শনিবার (১৮ জুন) দুপুরে রৌশনহাট ব্রীজের উপর মানববন্ধন ও সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চন্দনাইশ জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরতুলহাজ্ব আল্লামা শাহসুফি সৈয়দ মোহাম্মদ আলী (মাঃজিঃআঃ)’র সদারতে শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুপার শাহজাদা মাওলানা খাজা মুহাম্মদ মোবারক আলী, মাওলানা শাহজাদা মুহাম্মদ মনজুর আলী, মাওলানা ক্বারী মুহাম্মদ ইদ্রিস, মাওলানা অলী আহমেদ, মোঃ মফিজুর রহমান, মাওলানা আহমেদ হোসেন, মাওলানা রেজাউল করিম প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ব মুসলিমদের হৃদয়ের স্পন্দন মহানবী (সা.) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য কোনো মুসলমানই মেনে নিতে পারে না। এসময় তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানোর দাবি জানান।
ধর্মীয় অপবাদ ছডিয়ে ভারতীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপি একটি বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের স্পষ্ট পায়তারা। এছাড়া তারা সম্প্রীতির বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠিকে উসকে দিয়ে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পারিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায়।
বক্তারা আরও জানান, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেত্রী নুপুর শর্মা কর্তৃক মহানবী (সা.) কে কটুক্তির দায়ে ভারত সরকারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। এছাড়াও ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই নেতার কটুক্তির প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানোর দাবি জানিয়েছেন।
পরে তাদের ছবি আগুনে পুড়িয়ে নিন্দা জানান ও বিশ্ব মুসলিম নেতাদের কাছে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে কটূক্তি ও অবমাননা এবং মুসলমানদের ধর্ম নিয়ে বাজে মন্তব্য করার দায়ে দোষীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, সম্প্রীতি ভারতীয় একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও তার স্ত্রী আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দেন নুপুর শর্মা।
পরে একই বিষয়ে টুইটারে পোস্ট দেন নাভিন কুমার জিন্দাল। এ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
Leave a Reply